Navi

খরগোশের পেটখারাপ হলে যেসব চিকিৎসা করবেন।

খরগোশ অনেক সময় পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হয়। এটি মুলত খরগোশের খাদ্য সরবরাহে ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য হয়ে থাকে। এসব সমস্যা থেকে খরগোশকে মুক্ত রাখতে হলে খেয়াল রাখতে হবে কোন কোন খাবার খেলে খরগোশ পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হয়, পরবর্তীতে সেসব খাবার খরগোশকে খেতে দেওয়া যাবে না।

 অনেকে বলেন খরগোশের পাতলা পায়খানা হলে কলা ভর্তা বা থানকুনি শাক খেতে দিন। এটি ভুল চিকিৎসা, খরগোশকে এই পদ্বতিতে চিকিৎসা করালে সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।তাই খেয়াল রাখতে হবে খরগোশ পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলা।


 তবে আমি শরীফ হাসান আমার খরগোশ কয়েকবার পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হলে নিন্মোক্ত পদ্বতি প্রয়োগ করে আমার খরগোশকে সুস্থ করেছিলাম, আমার খরগোশ পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হবার পরেও স্বাভাবিক ছিল। অর্থাৎ, পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হবার পরে সাভাবিক ভাবে ভাত, ঘাস, শাকসবজি খেয়েছে। কখনো খাওয়া দাওয়া বন্ধ করেনি। খরগোশ পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হলে যেসব ওষুধ প্রয়োগ করতে পারেন,

 ১= Emotil 2 mg (Capcul)
 ২= FalaZil-100 (tab)

 ১= Emotil ক্যপসুল কেটে ভিতর থেকে সব গুড়া বের করে ৩ ভাগে ভাগ করে, একেকটি অংশ ৩ সিসি পরিমান পানি নিয়ে কোন একটি পাত্রে গুলিয়ে সিরিঞ্জের এর ভিতরে ডুকিয়ে প্রাপ্ত বয়ষ্ক বা বাচ্চা খরগোশকে খাইয়ে দিন। এভাবে খরগোশকে ৫ ঘন্টা পর পর ২-৩ বার খাওয়ালে আশাকরি ভালো হয়ে যাবে। তার পরও ভালো না হলে আরো কয়েকবার খাইয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে খরগোশ যেন ওষুধ মুখ থেকে ফেলে দিতে না পারে।তবে ক্যাপসুলের গুড়াগুলো ৩ ভাগ করার পর বাকি অংশ গুলো কাগজে মুড়িয়ে ভালোভাবে সংরক্ষন করুন।

 ২= Falazil একটি ট্যবলেট ভালো ভাবে গুরো করে ৫ ভাগে ভাগ করে, একেকটি অংশ ৪ সিসি পরিমান পানি নিয়ে কোন একটি পাত্রে গুলিয়ে সিরিঞ্জের এর ভিতরে ডুকিয়ে ১টি প্রাপ্ত বয়ষ্ক বা বাচ্চা খরগোশকে খাইয়ে দিন। এভাবে খরগোশকে ৫ ঘন্টা পর পর ২-৩ বার খাওয়ালে আশাকরি ভালো হয়ে যাবে। তার পরও ভালো না হলে আরো কয়েকবার খাইয়ে দিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে খরগোশ যেন ওষুধ মুখ থেকে ফেলে দিতে না পারে।তবে ক্যাপসুলের গুড়াগুলো ৫ ভাগ করার পর বাকি অংশ গুলো কাগজে মুড়িয়ে ভালোভাবে সংরক্ষন করুন।

 শেষ কথা খরগোশের পাতলা পায়খানার জন্য উপরোক্ত টিপস্ ভালো করে পড়ে, বুঝে তারপর চিকিৎসা করান আশাকরি সুস্থ হয়ে যাবে। উপরোক্ত পদ্বতির মধ্যে প্রথম পদ্বতিটি(Emotil 2 mg)দ্বারা চিকিৎসা করুন। উপরোক্ত ওষুধ দুটি ক্রয় করলে ডেট ও তারিখ দেখে ভালো ওষুধ ক্রয় করবেন। ১ নম্বর ওষুধ Emotil 2 mg (Capcul) এর দাম কম তাই এই ক্যাপসুল ২-৩ টি অতিরিক্ত হিসেবে ঘরে এনে রাখুন। খরগোশ পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই ওষুধ খাইয়ে দিন। ওষুধের পাশা পাশি তাজা শাকসবজি খেতে দিন। তবে খরগোশ গর্ভাবস্থায় পেট খারাপ হলে অবশ্যই ১ নম্বর পদ্বতিতে Emotil ক্যপসুল দ্বারা চিকিৎসা করাবেন। বিদ্রঃ ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা একই রোগ নয় তাই আগে খেয়াল করবেন আপনার খরগোশ কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপরোক্ত দুটি ওষুধের যে কোন একটির মাধ্যমে চিকিৎসা করান। Emotil বা Falazil দুটো ঔষধ একসাথে খাওয়াবেন না। তবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে Falazil দ্বারা প্রথমে চিকিৎসা করুন।